হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট আমাদেরকে একটি অনন্ত যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।”
জেনারেল জিভ আরও অভিযোগ করেন, “সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইসরাইলকে ধ্বংস করার পথে নিয়ে যাচ্ছেন।” তার এই বক্তব্য ইসরাইলি রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ইসরাইলি চ্যানেল-১২ টেলিভিশন এর আগে হামাস ও মার্কিন সরকারের মধ্যকার চুক্তি সম্পর্কে বলেছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চড় মেরেছেন।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম এই প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, “আইদান আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য হামাস এবং মার্কিন সরকারের মধ্যে এই সরাসরি এবং অভূতপূর্ব চুক্তির মাধ্যমে, ট্রাম্প কেবল নেতানিয়াহুকে চড় মারেননি বরং হামাসকে বৈধতা দিয়েছেন এবং যুদ্ধের শুরু থেকেই অতুলনীয় বিজয় এনে দিয়েছেন। একই সাথে হামাসকে একটি আন্তর্জাতিক সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা ইসরাইল-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সংকট তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ট্রাম্প-নেতানিয়াহু সম্পর্কের এই টানাপোড়েন গাজা সংঘাতের সমাধানকে আরও জটিল করে তুলতে পারে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
ইসরাইলি শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউই এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নেতানিয়াহু প্রশাসন এই ইস্যুটি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে এবং সম্ভাব্য কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া নির্ধারণে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে।
আপনার কমেন্ট